গ্যালারি

তাওহীদের মূলসূত্রাবলীঃ আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা -১

[লেখাটির অধিকাংশ বিলাল পিলিপস এর “তাওহীদের মূলসূত্রাবলী” বই থেকে নেওয়া ]

ইসলামের সকল বিধিবিধান, আনুষ্ঠানিক ইবাদত, সামাজিক বিধান, পারিবারিক আচরণ সংক্রান্ত প্রত্যাদেশ, রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক নীতিমালা, এসকল কিছু আবর্তিত ও অর্থপূর্ণ হয় একটি মূল ধারণাকে কেন্দ্র করে, আর তা হচ্ছে মানুষের রব, স্রষ্টা এবং মানুষের জীবনের প্রতিটি দিকের বিষয়াদি সম্পর্কে বিধানদাতা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার তাওহীদের ধারণা।

বর্তমানে বাঙালী মুসলিম সমাজে তাওহীদের ধারণা শুধুই একটি থিওরি বলা চলে। শিক্ষিত সমাজের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে স্কুল পর্যায়ে ছোটবেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীরা তোতাপাখির মত তাওহীদের সংজ্ঞা মুখস্থ করতে থাকে। সাধারণতঃ দেখা যায় যে প্রতি ক্লাসেই মোটামুটি বই মুখস্থে’র এই করুণ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। অপরদিকে অশিক্ষিত মানুষের তো সে সংজ্ঞাও জানা নেই। তবে এই উভয় ক্ষেত্রেই যে ব্যাপারটি অনুপস্থিত, তা হচ্ছে জীবনে তাওহীদের বাস্তবিক প্রয়োগ। বরং একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে সমাজের সর্বস্তরে শিরকের (যা তাওহীদেও বিপরীত) ছড়াছড়ি। এবং প্রকৃতপক্ষে সমাজের অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন ভাবে শিরকের সাথে জড়িয়ে আছে। সমাজে ধার্মিক হিসেবে পরিচিত লোকেরাও এর ব্যতিক্রম নয়। যে তাওহীদের ধারণা মুসলিম সমাজদেহের প্রতিটি রন্ধ্রে স্বতঃ প্রবাহমান থাকার কথা ছিল, যে তাওহীদেও ধারণা প্রতিটি কাজে একজন মুসলিমের মূল প্রেরণা এবং দিকনির্দেশনা হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করবে জীবনের আদ্যপান্ত, সেই তাওহীদ আজ পরিণত হয়েছে শুধুই বহুল উচ্চারিত একটি বাক্যে: “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। তাওহীদের সারমর্ম এই বাক্যটি নিয়ত উচ্চারিত হয় এমন সব মানুষের জিহ্বায়, যারা শিরকের গভীরে ডুবে আছে দিনরাত। সমাজের এই অবস্থা সত্যিই আশংকাজনক, কেননা এর পরিণতি ভয়াবহ, এর পরিণতিতে পৃথিবীর জীবনে চরম দুর্দশা নেমে আসবে, তবে সেই দুর্দশা কিছুই নয়, প্রকৃত দুর্দশা সামনে আসছে, আর তা হচ্ছে আখিরাতে অর্থাৎ মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে আল্লাহর শাস্তি, জাহান্নামের প্রজ্জ্বলিত অগ্নি। শিরক, এর চূড়ান্ত পর্যায়ে মানুষের সকল ভাল কাজকে বিনষ্ট করে দেয়, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে যে, একজন মানুষ সারাজীবন ইবাদত করে গেল এবং মনে করল যে আখিরাতের জন্য অনেক সঞ্চয় হয়েছে, কিন্তু শিরকের কারণে সে আখিরাতে পুনরুত্থিত হল পুণ্যের শূন্য থলে নিয়ে। শুধু তাই নয় শিরকের অপরাধে তাকে নিক্ষেপ করা হল জাহান্নামের আগুনে। তাওহীদকে যদি সঠিক ভাবে উপলব্ধি করা না যায়, তবে মানুষ সালাত, সাওম, যাকাত ও হাজ্জ হয়ত করবে, কিন্তু পাশাপাশি সে আল্লাহর সাথে শিরক করে চলবে অবিরত, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কুরআনে পাকে তাই বলেন:

“তাদের অধিকাংশই আল্লাহকে বিশ্বাস করার দাবীদার, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তারা মুশরিক।” (সূরা্‌ ইউসুফ, ১২ : ১০৬)

তাওহীদের সুষ্ঠু ধারণা না থাকায় বহু মানুষের ইবাদত শুধুই পৌত্তলিক আচার-অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। শিরকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করা যায় নিম্নোক্ত আয়াতের মাধ্যমে:

“আল্লাহ্‌ তাঁর সাথে শরীক করার অপরাধ অবশ্যই ক্ষমা করবেন না, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা এর চেয়ে কম (অপরাধ) ক্ষমা করে দেন।” (সূরা আন নিসা, ৪ : ৪৮)

এখানে আমরা তাওহীদ সম্পর্কে শিখতে চেষ্টা করব, কেবল তত্ত্বীয় জ্ঞানার্জন নয়, বরং আমরা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাওহীদের গুরুত্ব এবং এর সংশ্লিষ্টতার দিকে আলোকপাত করতে চেষ্টা করব। আর আমাদের এই জ্ঞানার্জন তখনই সার্থক হয়ে উঠবে যখন আমরা আমাদের জ্ঞানকে প্রয়োগ করব বাস্তব ক্ষেত্রে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদেরকে সেই তওফীক দান করুন, “ওয়া মা তাওফিকী ইল্লাহ বিল্লাহ্‌।”

তাওহীদ শব্দের অর্থ:

একত্রীকরণ, এর উৎপত্তি “ওয়াহাদা” শব্দ হতে, যার অর্থ হচ্ছে একে পরিণত করা কিংবা সংগঠিত করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার প্রসঙ্গে তাওহীদ (তাওহীদুল্লাহ) শব্দের অর্থ: মানুষের সকল কর্মে, যা কিনা প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে আল্লাহ পাকের সাথে জড়িত, আল্লাহর একত্বের ধারণা বজায় রাখা।

তাওহীদ আর রুবুবিয়্যাহ:

রুবুবিয়্যাহ্‌ শব্দের উৎস হচ্ছে রব্ব শব্দটি, যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার একটি নাম। রুবুবিয়্যাতের ক্ষেত্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার তাওহীদকে স্বীকার করা মানে হচ্ছে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো স্বীকার করে নেয়া:

  • আল্লাহ সবসময়ই অস্তিত্বশীল ছিলেন, এবং আর কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিল না, অত:পর তিনি সবকিছুকে অস্তিত্ব দান করলেন।
  • তিনিই তাঁর সৃষ্টির লালন-পালন করে থাকেন, তবে সৃষ্টিকে তাঁর প্রয়োজন নেই, তিনি কোন ব্যাপারে সৃষ্টির মুখাপেক্ষী নন।
  • তিনিই সমগ্র সৃষ্টিজগৎ এবং বিশ্বচরাচরের একমাত্র রব, সার্বভৌমত্ব তাঁরই এবং তাঁর এই সার্বভৌমত্ব খর্ব হবার ঝুঁকি নেই।
  • তিনি সকল ক্ষমতার উৎস, তিনি অনুমোদন না করলে কোন একটি ঘটনাও সংঘটিত হতে পারে না।

রুবুবিয়্যাতের ক্ষেত্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার একত্বের ধারণা নিম্নোক্ত আয়াতগুলোতে পাওয়া যায়:

“আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, এবং সকল কিছুই তাঁর ওপর নির্ভরশীল।” (সূরা আয যুমার, ৩৯ : ৬২)

“আল্লাহ তোমাদের এবং তোমরা যা কিছু কর, তার স্রষ্টা।” (সূরা আস সাফ্‌ফাত, ৩৭ : ৯৬)

জীবনের প্রতিটি পদে তাওহীদ আর রুবুবিয়্যাহ্‌র গুরুত্ব:

আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত হয় সুখ-আনন্দ, নয়ত দুঃখ ও বেদনায় পূর্ণ। প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের জন্য কল্যাণ কিংবা ক্ষতি বয়ে আনে। আমরা মুসলিমরা এই হাসি এবং কান্নায় ভরা জীবনপথে চলি একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, তা হচ্ছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করা। কেননা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন:

“আমি জ্বিন ও মানুষকে শুধুই আমার ইবাদত (দাসত্বের) জন্য সৃষ্টি করেছি।” (সূরা আয যারিয়াত, ৫১ : ৫৬)

সাধারণতঃ মানুষ আনন্দের মুহূর্তে উচ্ছ্বসিত হয়, দুঃখের সময় সে আফসোস করে তার দুর্ভাগ্যের জন্য। কিন্তু আল্লাহ পাক যাকে তাওহীদের জ্ঞান দান করেন, সে জানে:

“আর কোন বিপদ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া আপতিত হয় না।” (সূরা আত তাগাবুন, ৬৪ : ১১)

সে আরও জানে:

“জেনে রাখো যদি গোটা মানবজাতিও তোমাকে সাহায্য করতে উদ্যত হয়, তারা ততটুকুই করতে সমর্থ হবে যা আল্লাহ ইতিমধ্যেই তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। তেমনি যদি গোটা মানবজাতি তোমার কোন ক্ষতিসাধন করার জন্য একত্রিত হয়, তারা তোমার ক্ষতি হিসেবে ততটুকুই করতে পারবে যা আল্লাহ আগেই তোমার জন্য লিখে রেখেছেন।” (ইব্‌ন্‌ আব্বাস (রা) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস)

ফলে সে বুঝতে পারে যে যদিও কারও মাধ্যমেই তার কোন ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু সেটা আল্লাহ্‌রই সিদ্ধান্ত। কেন? কারণ আল্লাহ ক্ষতির দ্বারা মানুষকে পরীক্ষা করে দেখতে চান যে সে ধৈর্য্য ধারণ করে কিনা:

“নিশ্চয়ই আমরা তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধার যন্ত্রণা, সম্পদ ও জীবনের এবং ফসলের ক্ষতির দ্বারা পরীক্ষা করব, অতএব যারা ধৈর্য্যশীল, তাদের সুসংবাদ দাও।” (সূরা আল বাকারাহ, ২ : ১৫৫)

সবরকারীদের প্রতিদান সম্পর্কে আল্লাহ্‌ পাক বলেছেন:

“যারা সবরকারী, তারাই তাদের পুরস্কার পায় অগণিত।” (সূরা আয যুমার, ৩৯ : ১০)

আনাস (রা) এর রিওয়ায়াতে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন:

কিয়ামতের দিন ইনসাফের দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করা হবে। দাতাগণ আসলে তাদের দান খয়রাত ওজন করে সে হিসাবে পূর্ণ সওয়াব দান করা হবে। এমনিভাবে নামায, হাজ্জ্ব ইত্যাদি ইবাদতকারীদের ইবাদত মেপে তাদেরকে প্রতিদান দেয়া হবে। অতঃপর বিপদে-আপদে সবরকারীরা আগমন করলে তাদের জন্য কোন ওজন ও মাপ হবে না, বরং তাদেরকে অপরিমিত ও অগণিত সওয়াব দেওয়া হবে। কেননা আল্লাহ পাক বলেছেন: “যারা সবরকারী, তারাই তাদের পুরস্কার পায় অগণিত।” (সূরা আয যুমার, ৩৯ : ১০) ফলে যাদের পার্থিব জীবন সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে অতিবাহিত হয়েছে, তারা বাসনা প্রকাশ করবে – হায়, দুনিয়াতে আমাদের দেহ কাঁচির সাহায্যে কাটা হলে (ভাল হত) আজ আমরাও সবরের এমনি প্রতিদান পেতাম!

ইমাম মালিক (রহঃ) এ আয়াতে “সাবিরুন” এর অর্থ নিয়েছেন, যারা দুনিয়াতে বিপদাপদ ও দুঃখ-কষ্টে সবর করে। কারও মতে এর অর্থ পাপকাজ থেকে সংযমকারী।

আবার আল্লাহ পাকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু ঘটে না, তাওহীদী এ ধারণার ফলে মানুষ কষ্টের অবস্থাতেও আল্লাহর সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা স্থাপন করে স্বস্তি লাভ করে, কারণ সে জানে:

“হতে পারে তোমরা এমন কিছুকে অপছন্দ করছ যা প্রকৃতপক্ষে তোমাদের জন্য কল্যাণকর অথবা এমন কিছুকে পছন্দ করছ যা ক্ষতিকর, কিন্তু আল্লাহ জানেন (কোনটি তোমার জন্য উত্তম), এবং তোমরা জান না।”
(সূরা আল বাকারাহ, ২ : ২১৬)

এভাবে তাওহীদের এই ধারণা মানুষকে শেখায় যে সে যেন সাধ্যমত চেষ্টা করার পর, ফলাফলের উপর সন্তুষ্ট থাকে, কেননা এ ফলাফল আল্লাহ পাকের ইচ্ছাধীন, এবং তিনি তাঁর বান্দার প্রতি লক্ষ্য রেখেই তা নির্ধারণ করে থাকেন। তাই যদি দেখা যায় যে একজন মুসলিম তাঁর জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, অথবা সে নিজের অবস্থা নিয়ে মানুষের কাছে অভিযোগ করছে, তবে বুঝতে হবে তার তাওহীদের চেতনায় গলদ রয়েছে, কিংবা সে এ কথা বুঝে উঠতে পারে নি, যে আল্লাহ পাক প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখছেন, এবং আমাদের জীবনের খুঁটিনাটি পর্যন্ত তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে যান না:

“এবং আপনার পালনকর্তা ভুলে যান না।” (সূরা মারইয়াম, ১৯ : ৬৪)

‘দূর কি ঝামেলায় পড়লাম!’, ‘কেন যে আমার কপালে এইসব জুটে!’, ‘সকাল থেকেই কুফা লেগে আছে!’, ‘আমারই কেন সবসময় ঠকতে হয়!’ – এ জাতীয় বিরক্তিসূচক উক্তি মুসলিমদেরকে একেবারেই পরিহার করতে হবে, কারণ হয় এসব উক্তির অর্থ দাঁড়ায় যে জাগতিক ব্যাপারে আল্লাহর কোন ভূমিকা নেই, যা তাওহীদ আর রুবুবিয়্যাহ্‌র ধারণার পরিপন্থী, আর নয়ত এসব উক্তির দ্বারা আল্লাহ্‌র প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করা হয়, যা এক প্রকার অকৃতজ্ঞতা এবং বিরাট ধৃষ্টতা।

রুবুবিয়্যাতের ক্ষেত্রে শিরক্‌ আমাদের সমাজে বিভিন্ন রূপে সংঘটিত হয়, পরবর্তীতে শিরকের আলোচনায় এ ব্যাপারে আলোচনা আসছে ইনশাল্লাহ্‌।

6 comments on “তাওহীদের মূলসূত্রাবলীঃ আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা -১

  1. সুপ্রিয় ভাই, আল্লাহ তাআলা আপনাকে আরো তাওফীক দান করুন। বর্তমানে সঠিক আকীদা বিষয়ক লেখা-আলোচনা আমাদের মধ্যে খুব কম। তাই আমারা একপ্রকার অন্ধকারের মধ্যে ইসলাম খুজে বেড়াই। শিরক-বিদআতের মত জটিল রোগ আমাদের মধ্যে ঢুকে ইসলামকে কুরে কুরে খাচ্ছে। কবর পুজা, মীলাদ, আর তাবীজ-কবজের রমরমা ব্যবসা চলছে ইসলমের নাম দিয়ে। এ সবের প্রতিকারে সঠিক আকীদা নির্ভর লিখুনী বড় প্রয়োজন।

    Like

  2. এই প্রবন্ধটি অনেক ভাল হইছে। এই প্রবন্ধটি থেকে আমি অনেক হাদীস ও কুরআনের আয়াত জেনেছি যা আগে আমি জানতাম না। এর মাধ্যমে আমি তাওহীদ সর্র্ম্পকে অনেক কিছু জেনেছি যা আমার জীবনে চলার পথে অনেক সাহায্য করবে।

    Like

  3. পিংব্যাকঃ প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য যা জানা একান্ত কর্তব্য-২ | In Search of Inner Peace | ইসলামিক বাংলা ব্লগ

মন্তব্য করুন