গ্যালারি

সাক্ষ্যপ্রমাণের গুরুত্ব

পর্ব ১: ইসলাম : একটি ধারণা ! পর্ব ২ : সংঘাত অথবা সংঘাত নয়? পর্ব ৩ : মৌলবাদীদের অদ্ভুত ব্যাপার পর্ব ৪ : এ সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই! শেখ আবদুর রহিম গ্রীন আল্লাহ কুরআনে সাধারণভাবে সমগ্র মানবজাতির প্রতি এবং বিশেষভাবে … বিস্তারিত পড়ুন

গ্যালারি

এ সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই!

তাহলে কি সেই প্রমাণ যা ইসলাম দৃঢ় প্রত্যয় উৎপাদনকারী হিসাবে উপস্থাপন করে? প্রথম বিচার্য বিষয় হচ্ছে বিশুদ্ধতা। পাঠ্যাংশের বিশুদ্ধতা সমগ্র “ভাণ্ডারের” মমার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ একবার যদি কোন পাঠ্যাংশ কোন তাত্ত্বিক বা রাজনৈতিক যুক্তিযুক্ততা সিদ্ধ করার জন্য বিকৃত বা পরিবর্তিত করা হয়, এবং যদি বিকৃতি থেকে বিশুদ্ধকে পৃথক করার কোন নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি না থাকে, তাহলে পাঠ্যাংশে এমন কোন অনুচ্ছেদ পাওয়া যাবে না যা প্রশ্নাতীত। বিশুদ্ধ ও সংরক্ষিত বিষয়বস’র ক্ষেত্রে এটা ততটা সহজ নয়। খৃষ্টান মৌলবাদীরা এটা ভালই জানে। যদি এটা “আল্লাহর বাণী” না হয়, তবে পথ নির্দেশনা হিসাবে এর কোন মূল্য আছে জ্ঞানের সংকলন হওয়া ব্যতীত? খুব কমসংখ্যক সত্যিকার পণ্ডিত লোকই, এমনকি ইসলামের প্রতিপক্ষের মধ্যে থেকেও, কুরআনের ঐতিহাসিক বিশুদ্ধতা নিয়ে বিতর্ক করার প্রয়াস পেয়েছেন। আসলে এটা একটা অর্থহীন পণ্ডশ্রম ছাড়া আর কিছুই হবে না, কারণ যে কেউ প্রাক্তন সোভিয়েট ইউনিয়নের তাশখন্দে ভ্রমণ করতে প্রস্তুত থাকবে, সেখানে নবী (সঃ) এঁর সাহাবী কুরআনের লেখক জায়েদ ইবনে সাবিত এর স্বহস্তে লিখিত কুরআনের সম্পূর্ণ কপি দেখতে পাবে, যা নবী (সঃ) এঁর মৃত্যুর দুবছরের মধ্যে প্রথম খলিফা আবু বকরের আদেশে লেখা হয়েছিল। তাশখন্দের পাণ্ডুলিপিটি জায়েদের লেখা প্রথম পাণ্ডুলিপির নকল, যা জায়েদেরই নিজের হাতে করা বিস্তারিত পড়ুন

গ্যালারি

মৌলবাদীদের অদ্ভুত ব্যাপার

মুসলিম বিশ্ব বর্তমানে প্রতিযোগী জাতি-রাষ্ট্রসমূহের জোড়াতালি বিশেষ, যেগুলি এমন সব বিচার বিভাগীয় ও রাজনৈতিক পদ্ধতি দ্বারা শাসিত যা কোনক্রমেই “ইসলামী” বলা যায় না। নিঃসন্দেহে অধিকাংশ দেশেই আল্লাহ তাঁর রাসূলের কাছে যা অবতীর্ণ করেছেন তার বিরোধী আইন বিদ্যমান। মনে হয় এসব জাতিগুলির একমাত্র ইসলামী বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে তাদের মধ্যে মুসলিম রয়েছে। মুসলিম বিশ্বের এক বিরাট অংশ গত প্রায় দুইশত বছর যাবত কোন না কোন ইউরোপীয় শক্তির শাসনাধীনে বা সংরক্ষণে ছিল, যারা ধীরে ধীরে শরীয়াকে (ইসলামী আইন) বিভিন্ন পশ্চিমা পদ্ধতিতে প্রতিস্থাপন করেছে। তথাকথিত “স্বাধীনতা” পাওয়ার পরও এ সমস্ত বহিরাগত রাজনৈতিক ও বিচার বিভাগীয় পদ্ধতিসমূহ রয়ে গেছে অথবা অন্য কোন পশ্চিম-প্রভাবিত সংকর দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। তুরস্কের আতাতুর্কের “জাতীয়তাবাদ”, ইরাক ও সিরিয়ার ‘বাথবাদ”, মিশরের জামাল আবদুন নাসেরের “প্যান আরব জাতীয়তাবাদী সমাজতন্ত্র”, এবং এর বিভিন্ন প্রজাতি যেমন গাদ্দাফীর “ইসলামী সমাজতন্ত্র”। এসমস্ত আন্দোলনসমূহ তাদের লক্ষ্যের সাথে সঙ্গত মনে হলেই অবাধে “ইসলামী” শ্লোগান ব্যবহার করে চলছে। সাধারণ জনতা নতুন পাওয়া “স্বাধীনতার” উৎসাহে উদ্দীপ্ত, এবং তা রক্ষা করার জন্য তাদেরকে বলা হয় যে তাদেরকে অবশ্যই “আধুনিক” হতে হবে। তথাকথিত “বুদ্ধিজীবী”দের কাছে এর অর্থ হচ্ছে অতীতের সবকিছুই বর্জন করা এবং নতুন সবকিছুকেই গ্রহণ করা। এভাবেই “মডার্নিস্ট” আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে, মোহাম্মদ আবদুহু এর মত লোকেরা যার নেতৃত্বে ছিলেন, যে আন্দোলন নবী (সঃ) এঁর সমস্ত অলৌকিক ঘটনাবলীকে এবং এমনকি ইবাদতের বহু মৌল কর্মকে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে। প্রথমবারের মত রিবা (সুদ) বৈধ (?) ঘোষণা করা হয় এবং পশ্চিমা পোশাক ও জীবনযাত্রাকে উৎসাহিত করা হয়। ব্যক্তিগত ইজতিহাদ (বিচারের যুক্তি) ও আয়াতের ব্যাখ্যার ব্যাপারে মুসলিম আলিম সমাজের প্রচলিত পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়ে তারা এসব কিছুকেই গ্রহণযোগ্য করার প্রচেষ্টা চালান। বিস্তারিত পড়ুন